রাজধানীতে আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মভিত্তিক দলের কর্মসূচির কারণে যানজট ও জনদুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জানিয়েছে, তারা জোহরের নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সমাবেশ করবে এবং পরে প্রেসক্লাব হয়ে পল্টন মোড় পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যাবে। একই স্থানে আসরের নামাজের পর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক) সমাবেশ করবে। দলটির প্রচার সম্পাদক হাসান জুনাইদ জানিয়েছেন, তাদের মিছিল উত্তর গেট থেকে বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত যাবে।
বিকেল ৩টায় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে খেলাফত আন্দোলন। পরে তারা মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররমের দিকে যাবে। একই দিনে বিকেল সাড়ে ৪টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় সমাবেশ করবে জাগপা। সেখান থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত মিছিল করে আবার বিজয়নগরে ফিরে যাবে দলটি। অন্যদিকে বিকেল ৫টায় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে নেজামে ইসলাম।
এ ছাড়া বিকেল সাড়ে ৪টায় বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামী। তাদের মিছিল যাবে পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত। দলটির কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা এতে অংশ নেবেন বলে জানানো হয়েছে।
একাধিক দলের এসব কর্মসূচির কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হতে পারে। গুলিস্তান হয়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে আসা-যাওয়া করা যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সচিবালয়, মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর ও আশপাশের এলাকায় কর্মরত অফিসগামী ও অফিসফেরত লোকজনও সমস্যায় পড়তে পারেন।
শাহবাগ ও কাকরাইলের আশপাশের সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে তার প্রভাব পড়বে ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, বাংলামোটর ও কারওয়ান বাজার এলাকায়। পাশাপাশি শাহবাগ ও কাকরাইল এলাকার হাসপাতালগুলোতে রোগী আনা-নেওয়া ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক পিজি), ঢাকা মেডিক্যাল, বারডেম, পপুলার, ল্যাবএইড ও ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের রোগী ও স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়তে পারেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সর্বদা চেষ্টা করছে। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে বিপুল জনসমাগম হলে স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হয়। বিকল্প সড়কগুলোতেও চাপ সামলানো সম্ভব হয় না, ফলে অচলাবস্থা তৈরি হয়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার প্রতিটি অঞ্চলই অত্যন্ত ব্যস্ত। তাই যেখানেই রাজনৈতিক কর্মসূচি হোক না কেন, তা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এতে সময়, অর্থ ও শ্রমের ক্ষতি হয়। যাত্রীরা, চালকরা ভোগান্তিতে পড়েন; এমনকি জরুরি রোগী পরিবহনেও বিলম্ব ঘটে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে সবসময় অনুরোধ করা হয়, যেন তারা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন কর্মসূচি না দেয়। বিশেষত বড় দলের কর্মসূচিতে পুরো রাজধানী প্রায় অচল হয়ে পড়ে।