অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ফেরদৌসী ফাউন্ডেশন আবারও প্রমাণ করেছে যে, মানবিকতার জয় সবসময়ই সম্ভব। বুধবার রাতে দুর্গাপুর পৌর সদরের সিংগাগ্রামে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১০টি হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে শুকনা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এ কর্মসূচির সার্বিক নির্দেশনা দেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জিয়া পরিষদ (ইউকে)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রবাসী বাংলাদেশি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আইনজীবী রেজাউল করিম। কর্মসূচির তত্ত্বাবধানে ছিলেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক আজগর আলী, যিনি নিবিড়ভাবে পুরো কার্যক্রমটি মনিটর করেন।
বিতরণ কার্যক্রমটি পরিচালনা করেন ফাউন্ডেশনের পৌরসভা সমন্বয়কারী রবিউল ইসলাম এবং সহকারী সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান মিন্টু। তাদের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন পৌরসভা শাখার কার্যকরী সদস্য খোকন ইসলাম, রাজিব হোসেন, রাজন আলী, তুহিন ইসলাম, অনিক আহম্মেদ, সিয়াম আলী, আসিফ ইকবাল, জনি ইসলাম, আকাশ হোসেন, বেলাল হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
তারা বলেন, “আমরা শুধু খাদ্য সহায়তায় সীমাবদ্ধ থাকি না, আমাদের লক্ষ্য হলো এই মানুষগুলোর পাশে থাকা—সুখে, দুঃখে, বিপদে।”
খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের সদস্যরা এলাকার বিভিন্ন অসুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেন। অনেকে যারা দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পরিবারকে প্রাথমিক সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশনের এক সদস্য বলেন, “শুধু খাবার দিলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। আমরা চাই, এই মানুষগুলোর সুস্থ জীবন নিশ্চিত হোক। চিকিৎসা সহায়তা সেই চেষ্টারই অংশ।”
ফেরদৌসী ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক সামাজিক সংগঠন, যা সমাজের প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, “আমরা প্রবাসে থাকলেও দেশের মানুষকে ভুলিনি। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও আমাদের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হবে। শিক্ষাবৃত্তি, নারীদের কর্মসংস্থান, ,চিকিৎসা সহায়তা—সবকিছু নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।”
এ ধরনের কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী। একজন সুবিধাভোগী বলেন, “অনেক দিন পর কেউ আমাদের কথা ভাবলো। শুধু খাবার নয়, আমাদের অসুস্থতা নিয়েও ওনারা চিন্তা করছেন—এটাই বড় স্বস্তির ব্যাপার।”
মানবিক সহানুভূতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ফেরদৌসী ফাউন্ডেশন। শুধু সাময়িক সাহায্য নয়, টেকসই উন্নয়ন ও প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাদের মূল লক্ষ্য—এমনটাই জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ।
সমাজের অন্য সংগঠনগুলোরও উচিত এই উদ্যোগগুলো অনুসরণ করা এবং সম্মিলিতভাবে একটি সহানুভূতিশীল সমাজ গড়ে তোলা।
