Home Bangladesh রাজশাহীর দুর্গাপুর–পুঠিয়ায় জামায়াতকে হারানোর একমাত্র শক্তি প্রবাসী বিএনপি নেতা রেজাউল করিম

রাজশাহীর দুর্গাপুর–পুঠিয়ায় জামায়াতকে হারানোর একমাত্র শক্তি প্রবাসী বিএনপি নেতা রেজাউল করিম

by Asadujjaman Shuvo
2 minutes read
A+A-
Reset

রাজশাহীর দুর্গাপুর ও পুঠিয়া আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে এখন এক নাম সর্বাধিক আলোচ্য—রেজাউল করিম। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জামায়াতকে এই আসনে পরাজিত করতে একমাত্র শক্তিশালী হাত তিনি।

ইসলামী মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক দৃঢ়তা:

রেজাউল করিম শৈশবে মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। ধর্মীয় শিক্ষা থেকে শেখা শৃঙ্খলা, নৈতিকতা এবং দেশপ্রেমের ভিত্তি আজও তার রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি ইসলামী চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ করেন, কিন্তু বিএনপির নেতা হিসেবে দেশের প্রগতিশীল রাজনীতিতেও সক্রিয়। এই দ্বৈত পরিচয় তাকে জামায়াতের চেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।

সমাজসেবায় প্রভাব:

স্থানীয়রা বলছেন, রেজাউল করিম শুধু রাজনীতিক নন, তিনি একজন সমাজসেবকও। তিনি গ্রামীণ সড়ক সংস্কার, স্কুল ও মাদ্রাসার উন্নয়ন, ক্যান্সার ও গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার খরচ বহন এবং দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ নিশ্চিত করেছেন।

তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে তিনি নিয়মিত ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন। স্থানীয় খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করে যুবসমাজকে ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করছেন। এছাড়া মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের আর্থিক সহায়তা এবং ভবন সংস্কারের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মানুষদেরও আস্থা অর্জন করেছেন।

নির্বাচনী ইশতেহার: উন্নয়ন ও সুযোগ:

রেজাউল করিমের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ রয়েছে:

কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব দূরীকরণ

মেধাবীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি

জাপান ও কোরিয়ায় কাজের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম চালু

স্থানীয় পণ্য ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ

ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে সৎ ও দেশপ্রেমিক সমাজ গঠন

দুর্নীতিমুক্ত অফিস, আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা

দুর্গাপুর ও পুঠিয়ায় শিল্প কারখানা স্থাপন করে স্থানীয় উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি

কেন রেজাউল করিম একমাত্র শক্তি:

স্থানীয় বিএনপি নেতারা মনে করছেন, জামায়াতকে বর্তমানে শক্ত প্রতিপক্ষ মনে করা হলেও বাস্তবে তাদের জনপ্রিয়তা সীমিত। তবুও তাদের দুর্বল ভাবা ঠিক হবে না। রেজাউল করিমের সামাজিক কাজ, ইসলামিক মূল্যবোধ এবং প্রবাসী সংযোগ তাঁকে এই এলাকায় একমাত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে যিনি জামায়াতকে হারাতে পারবেন। তিনি ইসলামী চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ করেন, কিন্তু বিএনপির নেতা হিসেবে দেশের প্রগতিশীল রাজনীতিতেও সক্রিয়। এই দ্বৈত পরিচয় তাকে জামায়াতের চেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।

একজন স্থানীয় বিএনপি কর্মী বলেছেন,

“রেজাউল ভাই মাঠে নামলেই জামায়াতের সব কৌশল ভেস্তে যাবে। তার জনপ্রিয়তা ও সামাজিক কাজ, ইসলামিক মুল্যবোধ বিএনপির জন্য বড় শক্তি।”

সব মিলিয়ে এখন প্রশ্ন একটাই—দুর্গাপুর–পুঠিয়ায় জামায়াতকে পরাজিত করতে বিএনপি কি শেষ পর্যন্ত রেজাউল করিমকেই প্রার্থী হিসেবে বেছে নেবে, যিনি ইসলামী মূল্যবোধ, সামাজিক কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক দক্ষতা মিলিয়ে একমাত্র শক্তিশালী নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন?

You may also like

Your gateway to unlimited entertainment, Authentic news and Expert analysis.

Edtior's Picks

Latest Articles

WeTVWorld.Net 2025 All Rights Reserved. Designed and Developed by Collective Online Media 

-
00:00
00:00
Update Required Flash plugin
-
00:00
00:00