বাংলাদেশে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে গঠিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন যে তাৎক্ষণিক বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবগুলো পেশ করেছে, সেগুলো দ্রুত কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন। ইউনূস বলেন, “এই প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে। বিশ্বজুড়ে নারীরা এই উদ্যোগের দিকে তাকিয়ে আছে এবং গুরুত্ব দিয়ে তা মূল্যায়ন করবে।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, কমিশনের প্রতিবেদনটি শুধু দাপ্তরিক নথি হিসেবে নয়, বরং সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। এটি বই আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে গণ্য হয়।
তিনি আরও বলেন, এই প্রস্তাবগুলো দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও তুলে ধরা হবে, এবং জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
এই পদক্ষেপকে ইতিমধ্যে সামাজিক ন্যায়বিচার ও নারীর ক্ষমতায়নে এক নতুন দিগন্ত হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
