আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে আর কোনো নির্বাচনেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করার নীতিগত সিদ্ধান্তও নিয়েছে কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ইসির বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, “প্রবাসীরা এবার প্রথমবারের মতো পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। এজন্য অনলাইনে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে। নিবন্ধন শেষ হলে ইসি সরাসরি ভোটারের ঠিকানায় ব্যালট পাঠাবে। ভোট প্রদান শেষে তা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে ফেরত পাঠাতে হবে।”
ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা বাস্তবায়নে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে, যার সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। ব্যালট পাঠানোর বিষয়ে দুটি প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে—একটি হলো প্রার্থীর নামসহ ব্যালট ছাপিয়ে পাঠানো, অন্যটি হলো ফাঁকা ব্যালট পাঠিয়ে ভোটার নিজে প্রার্থীর নাম লিখে ভোট দেওয়া। তবে এসব প্রস্তাব এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগে একটি ট্রায়াল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা যাচাই করা হবে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রবাসীদের ভোট নিয়ে মতবিনিময় করে। সেখানে অধিকাংশ দল অনলাইন ও প্রক্সি ভোট পদ্ধতির বিরোধিতা করে। তাই শেষ পর্যন্ত পোস্টাল ব্যালটকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় নির্বাচনেও আর ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। এ বিষয়ে একটি পৃথক কমিটি গঠন করে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা হবে।
সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন, হলফনামা, ইসি সচিবালয় আইন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের অগ্রগতি, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও সীমানা পুনর্নির্ধারণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।